পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাহাড়ি বনাঞ্চল সুরক্ষা এবং টেকসইভাবে সম্পদ আহরণ সম্ভব। বনসম্পদ নষ্ট না করেও তা থেকে জনগণের উপকার নিশ্চিত করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) আয়োজিত এই কর্মশালার আলোচ্য বিষয় ছিল: বনবিনাশ, বনায়ন অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূমিগ্রাস থেকে বনজীবী মানুষের সুরক্ষা।
উপদেষ্টা বলেন, “বন রক্ষার প্রয়াসে প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি মানুষের জীবনমানও উন্নত হয়।” তিনি জানান, এর অংশ হিসেবে অনুমোদিত কিছু ‘আমব্রেলা প্রকল্প’ ইতোমধ্যে হাতে নেওয়া হয়েছে, যা পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস্তবায়িত হবে। সেই সঙ্গে তিনি দুর্গম এলাকায় আবাসিক স্কুল চালুর পরিকল্পনার কথাও জানান।
আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া বন সংরক্ষণ কার্যকর হবে না।”
আগের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “নতুন প্রকল্পগুলোতে যেন পূর্বের ভুলগুলো না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।”
কর্মশালায় পরিবেশবিদ, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও সরকারি–বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।