গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহসিকতায় বর্তমানে চাপে পড়েছে ইসরায়েল। অত্যাধুনিক অস্ত্র ও উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতি থাকলেও গাজার সংগঠনগুলো, বিশেষ করে আল কুদস ব্রিগেড, বুকভরা সাহস আর দৃঢ় সংকল্পেই প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বহু কাঙ্ক্ষিত পরিকল্পনাগুলো গাজার প্রতিরোধে মুখ থুবড়ে পড়ছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও গড়ে উঠেছে শক্ত প্রতিরক্ষা বলয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি আল কুদস ব্রিগেড গাজা উপত্যকার সেদের মেফেলসম ও নিজর এলাকায় রকেট হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আল আকসা মার্টায়ার্স ব্রিগেড খান ইউনিসে মর্টার শেল হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা একের পর এক হামলার মুখে পড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, গোয়েন্দা দুর্বলতা, কৌশলগত বিভ্রান্তি এবং রাজনৈতিক চাপ ইসরায়েলকে অস্থির করে তুলেছে। এ পরিস্থিতিতে হামাস–ঘনিষ্ঠ এই সংগঠনগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের অবস্থানও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল মায়েদীন জানিয়েছে, এই প্রতিরোধের ফলে ইসরায়েল এখন সেনা প্রত্যাহার নিয়েও চিন্তা করছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় নেতানিয়াহুর ওপর চাপ বাড়ছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে পড়েছে।
গাজার এই অদম্য প্রতিরোধই প্রমাণ করছে—সমরাস্ত্র নয়, মনোবলই অনেক সময় সবচেয়ে বড় শক্তি।