ওমেগা–৩ হলো এক ধরনের বহিঃসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না। তাই এটি খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। এটি তিন ধরনের হয়ে থাকে: ALA (উদ্ভিজ্জ উৎস), EPA ও DHA (প্রাণিজ উৎস)।
ওমেগা–৩ সমৃদ্ধ খাবার:
প্রাণিজ উৎসে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ যেমন–স্যামন, টুনা, সারডিন, ম্যাকারেল, হেরিং। এ ছাড়াও রয়েছে কড লিভার অয়েল, ফিশ অয়েল ক্যাপসুল, চিংড়ি ও ঝিনুক।
উদ্ভিজ্জ উৎসে রয়েছে–
আখরোট
চিয়া সিড
ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ)
সয়াবিন ও সয়াবিন তেল
ক্যানোলা তেল
পাতাযুক্ত শাকসবজি (যেমন পালং শাক)
ওমেগা–৩ এর উপকারীতা:
1. হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
2. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ কমায়।
3. চোখের জন্য উপকারী: বিশেষ করে DHA চোখের রেটিনার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।
4. ইনফ্ল্যামেশন কমায়: বাত ও চর্মরোগে উপশমে কার্যকর।
5. শিশুর বুদ্ধি ও স্নায়ু বিকাশে সহায়ক: গর্ভাবস্থায় DHA ভ্রূণের মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে।
6. ত্বকের জন্য উপকারী: ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা–৩ গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে অতিরিক্ত গ্রহণ এড়ানো উচিত, বিশেষ করে সাপ্লিমেন্টের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।