চার মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রোকন ফারুকীর নাম বাদ না দিয়ে একটি মামলায় ৫৫ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে বিস্ময় ও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
রোকন ফারুকী সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের হিমনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত আজিজ ফারুকীর ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের একজন সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার (১৯ জুলাই) তাড়াশ থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার মাধ্যমে। বাদী শাহিন বাবু এজাহারে ১০৭ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং আরও ১২০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট খালকুলা এলাকায় একটি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সময় বাদী হামলার শিকার হন।
অবশ্য খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোকন ফারুকী গত ২৪ মার্চ মোটরসাইকেলযোগে সিরাজগঞ্জ কোর্টে যাওয়ার পথে হরিনচড়া বাজার এলাকায় একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ বিষয়টি সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল।
মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে যাকে রাখা হয়েছে, সেই মো. মোরসালিন জানিয়েছেন, “এই মামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।”
বিষয়টি জানতে মামলার বাদী মো. শাহিন বাবুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, “মামলার বাদী হয়তো ভুলবশত মৃত ব্যক্তির নাম দিয়ে ফেলেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় যে তিনি মারা গেছেন, তাহলে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। এতে কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।”