রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন। রোববার (২১ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে মহিন জানান, ঘটনার দিন তিনি এবং অন্যান্য আসামিরা সোহাগকে ব্যবসা ছাড়ার হুমকি দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সোহাগ দীর্ঘদিনের দখল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে এবং উত্তেজিত আচরণ করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
মহিন আরও জানান, বিগত সরকার আমল থেকেই সোহাগ ভাঙাড়ি ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। তারা বারবার সোহাগের দ্বারা দলীয় প্রভাবে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সরকার পরিবর্তনের পর মহিন ও তার সহযোগীরা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়।
জবানবন্দিতে মহিন স্বীকার করেন, সোহাগের পূর্বের নির্যাতনের কারণেই তার মরদেহের ওপর পৈশাচিক হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে মহিন আদালতে হাজির হলে তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তা রেকর্ড করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৯ আসামির মধ্যে চারজন ইতিমধ্যে আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। গত ৯ জুলাই সোহাগকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সামনে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।