“আমরা হিজড়া, কিন্তু ছোট শিশুদের এই ভয়াবহ কষ্ট দেখে মন থামাতে পারিনি। তাই রক্ত দিতে চলে এসেছি”—জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে দাঁড়িয়ে এমন কথাই বলছিলেন আঁচল নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) আঁচলের মতো প্রায় ২০০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিশুদের রক্ত দিতে এসে হাজির হন হাসপাতাল চত্বরে।
আঁচল জানান, “নিষ্পাপ শিশুদের যন্ত্রণায় আমরা চুপ থাকতে পারিনি। আহতরা আমাদের ভাইবোনের মতো। আমরা মূলত দুটি গ্রুপে এসেছি—একটি মগবাজার এলাকা থেকে, আরেকটি বনানী থেকে।”
তাদের নেতা বেলুনি বলেন, “ছোট ছোট বাচ্চাদের এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি আমার সব লোকজন নিয়ে চলে এসেছি।”
স্বেচ্ছাসেবকরা জানিয়েছেন, রক্ত গ্রহণের আগে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের উপযুক্ত পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার কিছু পর রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনার ফলে সঙ্গে সঙ্গে ভবনে আগুন ধরে যায়। ওই সময় ভবনে স্কুল পর্যায়ের বহু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন, যাদের অধিকাংশই হতাহত হন।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে নামে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৮টি ইউনিট। পরে উদ্ধারকাজে যুক্ত হয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। হেলিকপ্টারযোগে হতাহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ তথ্যমতে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শতাধিক আহত।