ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন এবং জানান, তার পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
৭৪ বছর বয়সী ধনখড় নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগেই দায়িত্ব ছাড়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা–কল্পনার জন্ম দিয়েছে। যদিও তিনি পদত্যাগপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন, “এই রূপান্তরময় সময়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন আমার জীবনের গর্বের অধ্যায়।”
রাজস্থানের কিথানা গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া ধনখড় জীবনের শুরুতেই নানা প্রতিকূলতা পার করে চিত্তৌড়গড়ের সাইনিক স্কুল এবং রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। আইন পেশায় সফল হয়ে রাজস্থান হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে কাজ করেন তিনি। রাজনীতিতে প্রথমে কংগ্রেসের মাধ্যমে প্রবেশ করলেও পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেন এবং একবার কেন্দ্রে মন্ত্রীও হন।
২০১৯ সালে তাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার একাধিক সংঘর্ষ হয়। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে বিরোধীদের সঙ্গে মতানৈক্য এবং অপসারণ প্রচেষ্টাও তাকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।
২০২২ সালের নির্বাচনে তিনি বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন। ধনখড়ের এই হঠাৎ অবসর ভারতের রাজনীতিতে নতুন এক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।