মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট করেছেন সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদের নেতারা।
ওয়াকআউটের সময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “মাইলস্টোনে হৃদয়বিদারক ঘটনায় প্রতিবাদরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে, যা স্বৈরাচারী শাসনের প্রতিচ্ছবি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “যারা অতীতে স্বৈরাচারের সহযোগী ছিল, তারাই এখন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এক উপদেষ্টা নিজেই স্বীকার করেছেন— এই হামলার পেছনে স্বৈরাচারীরা রয়েছে। অতীতেও শেখ হাসিনা যখন চাপে থাকতেন, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ থাকার ডাক দিত। এখন আবার সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এই ঘটনার প্রতিবাদ না করে সংলাপে থাকা নৈতিকভাবে সম্ভব নয়, তাই আমরা প্রতীকীভাবে ১০ মিনিটের জন্য সংলাপ ত্যাগ করছি।”
রুহিন প্রিন্সের বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজও সংলাপ কক্ষ ত্যাগ করেন।
ওয়াকআউটের প্রতিক্রিয়ায় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “তিনটি দলের এই প্রতীকী প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার একটি দৃষ্টান্ত। তারা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, যা সরকার নিশ্চয় বিবেচনায় নেবে। আমরা তা নথিভুক্ত করেছি।”
পরে সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ওয়াকআউটকারী নেতারা আবারও সংলাপে ফিরে আসেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।