ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি দাবি করেছেন, দেশে “লাশ গুম” নিয়ে চলমান প্রচারণা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র। তার ভাষায়, বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনোভাবেই কাউকে গুম করা সম্ভব নয়।
বুধবার (২৩ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল দুর্ঘটনায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্ধারণ ও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে কফিন মার্চ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মাইলস্টোন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে হাদি বলেন, এটি কোনো আন্দোলনে গুলি করে হত্যার ঘটনা নয়, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল, তাদের উপস্থিতি বিদ্যালয়ের রেকর্ডে এবং অভিভাবকদের কাছেও নিশ্চিতভাবে আছে।
তিনি বলেন, দেশের সেনাবাহিনীকে ঘিরে আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি গোষ্ঠী প্রতিটি ঘটনার পরই বলে—পাহাড় থেকে সেনাঘাঁটি সরাও, দেশজুড়ে সেনা সরাও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি ভারত এসে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেবে? এদের চাওয়া সেনাবাহিনী না থাকুক—কেবল ভারত আর তাদের গোষ্ঠী থাকুক।
শরীফ ওসমান হাদি বলেন, সেনাবাহিনী দুর্বল হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ, লাভবান হবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাই দেশের জনগণকে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিনে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যখন গুম, খুন বা ভোট কারচুপি করেছে, তখন আনু মোহাম্মদ বা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো ব্যক্তিরা এসব কাজকে ‘রাষ্ট্রীয় অপরাধ’ বলে চালিয়ে দিয়েছেন, কখনো আওয়ামী লীগের নাম নেননি। অথচ এখন তারা সরাসরি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন, “রাষ্ট্র” শব্দটি উচ্চারণ করছেন না। পূর্বে তারা বলত ‘রাষ্ট্র ভাঙো’, এখন বলছে ‘ইন্টেরিম ভাঙো’।
মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনার দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, এই সনদের খসড়া ঘোষণার অন্তত দুই দিন আগে প্রকাশ করতে হবে ওয়েবসাইটে, যাতে জনগণ মতামত দিতে পারে। অন্যথায় ৩ আগস্ট দুপুর ১২টায় শাহবাগ থেকে সচিবালয় অভিমুখে সর্বাত্মক কফিন মার্চ করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।