বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জন্মনিবন্ধন পদ্ধতিতে বায়োমেট্রিক সংযোজনের সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা। তাঁদের মতে, বর্তমানে অনেকেই স্কুলে ভর্তির সময় প্রকৃত জন্মনিবন্ধন করে থাকলেও, পরবর্তী সময়ে বয়স বাড়িয়ে জাল সনদ তৈরি করে বিয়ের আয়োজন করে। বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি থাকলে একই ব্যক্তির একাধিক জন্মনিবন্ধন সম্ভব হবে না, ফলে বাল্যবিয়ে ঠেকানো সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে কর্মজীবী ও পথশিশুদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আয়োজিত বার্ষিক অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডা. মোহাম্মদ খলিলউল্লাহ। আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আবু তৈয়ব আবু আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার এ এফ এম গোলাম শরফুদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
ডা. খলিলউল্লাহ বলেন, “বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি, যার বিরুদ্ধে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
অধ্যাপক ড. আবু তৈয়ব মন্তব্য করেন, “বাল্যবিবাহ নির্ধারিত বয়সসীমা আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।”
সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল বলেন, “নিকাহনামার ফরমে জন্মতারিখের উল্লেখ না থাকা বড় একটি সমস্যা। এটি সংশোধনের পাশাপাশি ইমাম সমিতির প্রতিনিধিদের উপজেলা পর্যায়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।”
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে পথ ও কর্মজীবী শিশুদের জন্য ‘ড্রাপ-ইন সেন্টার’ চালুর মাধ্যমে শিক্ষা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।