আগুনে পোড়া রোগীর সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ও পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত জরুরি। শরীরের ওপর তীব্র তাপমাত্রার প্রভাব শুধু চামড়া নয়, অভ্যন্তরীণ টিস্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি করে। এতে রোগীর শরীরে প্রোটিন, পানি, মিনারেল ও শক্তির চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই দ্রুত সেরে ওঠার জন্য সুষম, পরিমিত ও উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার নিশ্চিত করা আবশ্যক।
আগুনে পোড়া রোগীর শরীরে প্রচুর তরল ও প্রোটিন নিঃসৃত হয়। ফলে ডিহাইড্রেশন ও প্রোটিন ঘাটতি রোধে পানীয় জল, ওআরএস, ডাবের পানি, লবণ-চিনির পানি ও স্যুপ খাওয়ানো উচিত। একইসাথে, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, মুরগি, দুধ, ডাল ও সয়া প্রোটিন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা দরকার।
পুড়ে যাওয়া টিস্যু পুনর্গঠনের জন্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বিশেষভাবে প্রয়োজন। বিশেষ করে ভিটামিন C, A, E এবং জিঙ্ক টিস্যু হিলিং ও সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য ফলমূল (লেবু, আমলকি, পেঁপে), সবজি (গাজর, শিম, কুমড়া), বাদাম, ডিমের কুসুম প্রভৃতি দেওয়া যায়।
আগুনে পোড়া রোগীরা অনেক সময় মানসিক আঘাত ও ক্ষুধামান্দ্যতাও ভোগেন। এজন্য খাবার যেন সহজপাচ্য, রুচিসম্মত ও ঘন ঘন অল্প পরিমাণে পরিবেশনযোগ্য হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
সবশেষে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম আগুনে পোড়া রোগীর দ্রুত আরোগ্যে বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক পুষ্টি যত্নই রোগীকে ফিরিয়ে দিতে পারে সুস্থ জীবনে।