সরকারি কর্মচারীদের চাকরির শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নতুন করে কঠোর বিধান সংযোজিত হয়েছে। আন্দোলন বা কর্মবিরতির মাধ্যমে অন্য সহকর্মীদের কাজ থেকে বিরত রাখতে চাইলেই হতে পারে বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা চাকরিচ্যুতি। এ সংক্রান্ত নতুন অধ্যাদেশ গত ২৩ জুলাই জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে প্রকাশিত এই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী যদি আইনসংগত নির্দেশ অমান্য করেন বা অন্যকে কাজ থেকে বিরত রাখেন, তাহলে তা “সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ” হিসেবে গণ্য হবে। এমন অপরাধের জন্য তাকে অবনমিত করা, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান কিংবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গঠন করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে হবে এবং চাইলে শুনানিতে ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিতে পারবেন অভিযুক্ত।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো—রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না। তবে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছেই রিভিউ আবেদন করা যাবে। সেই সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
আইনজীবীদের মতে, যদিও ‘আন্দোলন’ শব্দটি সরাসরি ব্যবহার হয়নি, তবে ধারা অনুযায়ী, যৌথভাবে কর্ম বিরতি বা সহকর্মীকে কাজে বাধা দিলে সেটি আন্দোলনের শামিল বলে বিবেচিত হবে।
অধ্যাদেশ জারির সময় সংসদ বিলুপ্ত থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলে তা প্রণয়ন ও কার্যকর করা হয়েছে