ছাত্রদল নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দিল বিএনপিবিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ১১টার দিকে শেরপুরের কুসুমহাটি বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে।
এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে অভিযুক্ত দুই ছাত্রদল নেতাকে। তারা হলেন— বড় ঝাউয়েরচর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে মো. সবুজ আহাম্মেদ (৩৫) এবং কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আল আমিন ইসলাম সাগর (২৬)। এই ঘটনার পরপরই আল আমিন সাগরকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লছমনপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ। ইউনিট বিএনপির সদস্য সচিব শফিক জানান, “তারা ৫ আগস্টের পর থেকে বেপরোয়া আচরণ করছিল এবং দলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল।”
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সবুজ ও সাগর দীর্ঘদিন ধরে দলের কোনো কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে নিজেদের স্বার্থে দলের পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। সর্বশেষ তারা বলায়েরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করেন এবং লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ পরিষদের সচিব ও কর্মীদের বের করে দিয়ে ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে কুসুমহাটি বাজারের কয়েকটি দোকানে গিয়ে চাঁদার দাবিও করেন।
এসব ঘটনার পর ব্যবসায়ীদের সহায়তায় স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ওই দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শারদুল ইসলাম মুরাদ এবং সদস্য সচিব সুমন আহমেদ জানান, “গত ১৭ জুলাই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আল আমিন সাগরের সভাপতির পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আজকের ঘটনায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
এদিকে, ভুক্তভোগী লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং মহিলা দলের নেত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সবুজ ও সাগরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শেরপুর সদর থানার ওসি জুবাইদুল আলম বলেন, “দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আজই তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।”