প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করার পর এবার পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলটি বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট হাতে পাকিস্তান বড় সংগ্রহ গড়লেও টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুইশ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮ রান।
পাকিস্তানের ইনিংসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান, যিনি একাদশে সুযোগ পেয়েই ৪১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৮২ রানের জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব (১৫ বলে ২১)। এই দুজনকে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ, যিনি ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন।
মাঝের ওভারে হাসান নওয়াজ ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝড় তোলেন, আর মোহাম্মদ নাওয়াজ খেলেন ১৬ বলে ২৭ রানের কার্যকর ইনিংস। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে নাওয়াজের জোড়া ছক্কায় রান তোলার গতি বাড়লেও, শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের নিখুঁত বোলিংয়ে থেমে যায় পাকিস্তানের গতি। তাসকিন ওই ওভারে তুলে নেন নাওয়াজ ও ফাহিম আশরাফের উইকেট এবং ম্যাচ শেষ করেন ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
এছাড়াও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন। যদিও শেখ মেহেদি ও মেহেদি হাসান মিরাজ কিছুটা খরুচে ছিলেন।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিল বেশ কিছু পরিবর্তন— বিশ্রামে ছিলেন ইমন, হৃদয়, রিশাদ, মুস্তাফিজ ও তানজিম হাসান। তাদের জায়গায় দলে ফেরেন তাসকিন, তানজিদ, নাসুম, সাইফউদ্দিন এবং মিরাজ। পাকিস্তানও একাদশে আনে দুটি পরিবর্তন— ফখর জামান ও খুশদিল শাহ বাদ দিয়ে মাঠে নামানো হয় ফারহান ও হুসাইন তালাতকে।
বাংলাদেশকে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করতে করতে হবে ১৭৯ রান। পাকিস্তান ব্যাটাররা শুরুটা ভালো করলেও মধ্য ও শেষ ওভারে টাইগার বোলারদের দৃঢ়তায় আটকে যায় রানবন্যা। এখন নজর লিটনদের ব্যাটিংয়ে— তারা কি পারবে লক্ষ্য তাড়া করে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে?