সাম্প্রতিক উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও আপাতত মাঠের কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি। বরং দলটি মনোযোগ দিচ্ছে পূর্বঘোষিত সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে। দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আইনশৃঙ্খলার অবস্থান পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে দলটি।
দলীয় নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বর্তমানে সবচেয়ে জরুরি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, পতিত আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক তৎপরতা, সচিবালয়ে হামলার মতো ঘটনা, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজনের ষড়যন্ত্রে দেশের রাজনৈতিক ময়দান নতুন আলোচনায় উত্তাল। গোপালগঞ্জের ঘটনাও এ বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ১৭টি দলের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে একতাবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানান।
বর্তমানে বিএনপি ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। ৬ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র-জনতার বৃহৎ বিজয় মিছিল দিয়ে এ কর্মসূচির সমাপ্তি হবে। এটি বিএনপির স্মরণকালের অন্যতম বড় সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এখনই নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা নেই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সময় রাজনৈতিক ঐক্য রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সকলে সংহতভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।