গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত একটি নিম্নচাপ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য থাকায় সাগরে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অমাবস্যা ও নিম্নচাপের যৌথ প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরাঞ্চলসমূহ— যেমন সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার—১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।