পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া করে লিটন দাসের দল। ৭৮ রানের হার নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
এই সিরিজ ছিল এশিয়া কাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রও ছিল। তবে ম্যাচের পারফরম্যান্সের চেয়ে প্রশ্নের সংখ্যা যেন বেশি থেকে গেছে।
ওপেনিং জুটি নিয়ে ধোঁয়াশা
আরব আমিরাত সফরে ওপেনার হিসেবে খেলেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হোসেন তামিম। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে হঠাৎ করেই নাঈম শেখকে জায়গা দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এই ব্যাটার নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। এখন প্রশ্ন উঠেছে—তৃতীয় ওপেনার হিসেবে নাঈম থাকবেন, না কি নতুন কেউ সুযোগ পাবেন?
জাকেরের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে প্রশ্ন
২০২৪ সালের শুরুর দিকে ‘ফিনিশার’ হিসেবে ৭ নম্বরে অভিষেক হয়েছিল জাকের আলী অনিকের। তবে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে তাকে ৫ নম্বরে খেলানো হচ্ছে। এই পজিশনে খেলেই তিনি সবচেয়ে সফল। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে—এশিয়া কাপে তিনিই কি হবেন পাঁচ নম্বর ব্যাটার, নাকি আবার পেছনের দিকে সরানো হবে?
অধিনায়কের ফর্মে ভাটা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ইনিংসে আলো ছড়ালেও পাকিস্তান সিরিজে আবারও ব্যর্থ লিটন দাস। তিন ম্যাচে মাত্র ১৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। অধিনায়কত্বের ভার কাঁধে নেওয়ার পর এমন ফর্ম দলের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোটেশন নাকি এলোমেলো সিদ্ধান্ত?
সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫টি পরিবর্তন আনা হয় একাদশে। মূলত বেঞ্চ শক্তি যাচাই করার উদ্দেশ্য থাকলেও ম্যাচটি হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে। এতে প্রশ্ন উঠেছে—এমন সময় কি এত বড় পরীক্ষা দরকার ছিল? বিশেষ করে এশিয়া কাপের আগে? তাসকিন ও মোস্তাফিজকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও সংশয় রয়েছে, কারণ দুজনেই দলের নির্ভরযোগ্য বোলার।