রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক তিন নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই ঘটনার জেরে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ-ও তাদের সংগঠন থেকে আরও দুজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন— কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান। বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।
এদিকে, এ ঘটনায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন জানে আলম অপু। তিনি লেখেন, “প্রথমত আমি গ্রেপ্তার হইনি। দ্বিতীয়ত, আমি কোথাও চাঁদাবাজিও করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “গুলশানের আজকের ঘটনায় আমি কোনোভাবেই জড়িত নই— না সরাসরি, না পরোক্ষভাবে। অথচ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমার নাম যুক্ত করে খবর প্রচার করা হচ্ছে। অনেকেই ভাবছেন আমি গ্রেপ্তার হয়েছি। যে ভিডিওকে চাঁদাবাজির প্রমাণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা আমি মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করব।”
মানসিক চাপে রয়েছেন উল্লেখ করে অপু লেখেন, “অসংখ্য ফোন কল, মেসেজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা— সব মিলিয়ে কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিছু মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট রিপোর্টের কারণে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমাকে একটু সময় ও স্থির হবার সুযোগ দিন। আমি সকল প্রশ্নের জবাব দেব। যদি কোনো অপরাধ করে থাকি, তবে তার শাস্তি গ্রহণে আমি প্রস্তুত।”
ছাত্রসংসদ থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে অপু লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রসংসদ আমাকে কোনো কালক্ষেপণ না করে বহিষ্কার করেছে। এতে ছাত্রসংসদের নামও নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে। আমি মনে করি, এই ঘটনায় ছাত্রসংসদের কোনো দায় নেই।