যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের ছদ্মবেশে কয়েকজন নারী ‘সাদা অ্যাপ্রোন’ পরে ঢুকে পড়েন পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে। তাদের চিকিৎসক ভেবে রোগীর স্বজনরা বিভ্রান্ত হন। পরে দেখা যায়, তারা ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচয়ে সিভিডি (স্ট্রোক) আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩০০ টাকার বিনিময়ে থেরাপি দিতে শুরু করেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফিজিওথেরাপি একটি বৈজ্ঞানিক ও প্রশিক্ষণনির্ভর পদ্ধতি। অথচ এইসব নারী কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই রোগীদের নিজ উদ্যোগে ‘শারীরিক থেরাপি’ দিতে থাকেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিভিন্ন বেসরকারি ফিজিওথেরাপি সেন্টারের কর্মীরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্ড দখলকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এতে সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং সেবার মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সদ্য যোগদানকৃত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, “এইসব ফিজিওথেরাপি কর্মীদের হাসপাতালে প্রবেশের কোনো অনুমতি নেই। তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই থেরাপি দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ পেয়েছি। গত ২৪ জুলাই তারা ওয়ার্ডে মারামারিতেও জড়িয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
হাসপাতালে কর্মরত পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এসব কর্মীকে ওয়ার্ডে দেখলেই আটক করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২৫ জুলাই ‘সময়’র কণ্ঠস্বর’–এ এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।