রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে চার ছাত্রনেতার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।
পুলিশের হেফাজতে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। চতুর্থ তলার তিন নম্বর আদালতের সামনে তাদের দেখে জনতা “চাঁদাবাজ” বলে স্লোগান দেয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এক আইনজীবীর প্রশ্নে আসামিরা বলেন, “আমরা চাঁদা চাইনি, বরং আমরাই পুলিশকে কল দিয়েছিলাম। পুলিশ ফোর্সসহ এসে আমাদের ধরে নিয়ে যায়।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, “এরা সাধারণ অপরাধী নয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় গিয়ে চাঁদাবাজি করছে, ফেসবুকে তা প্রচার করছে। শেখ হাসিনার নাম নিয়েও অপপ্রচার চালিয়েছে।”
তিনি জানান, আসামিরা ধানমণ্ডি ও গুলশান এলাকায় ধারাবাহিকভাবে চাঁদাবাজি করছিল। তারা এনসিপির নামেও চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করেছে।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, “তারা থানায় যাওয়ার আগেই পুলিশকে কল দিয়েছিল। এটি আদালতের বিবেচনায় আনা দরকার।”
আলোচনা শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।