রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাহীল ফারাবী আয়ান (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায়। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। সাহীল রাজধানীর মিরপুরে পরিবারসহ বসবাস করত।
এদিকে, বিমান দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। দুর্ঘটনার পর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো ১৫টি ‘বডিব্যাগ’-এর মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষায় ১৪টি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। ফলে একজনের তথ্য মৃতের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৪ জন। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তারা হলেন—ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, লামিয়া আক্তার সোনিয়া, আফসানা আক্তার প্রিয়া, রাইসা মনি এবং মারিয়াম উম্মে আফিয়া।
সিআইডির ফরেনসিক টিম সিএমএইচে থাকা ১১টি মৃতদেহ ও দেহাংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এবং ফলাফলের ভিত্তিতে শনাক্তকরণ সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে তুরাগ থানা পুলিশ নিহতদের স্বজনদের কাছে মরদেহ ও দেহাবশেষ হস্তান্তর করে।
দুর্ঘটনায় হতাহতদের তথ্য সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ফোকাল পারসন ডা. সরকার ফারহানা কবীর জানান, সিএমএইচ থেকে পাওয়া হালনাগাদ প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তথ্য সংশোধন করা হয়েছে।