চাঁদাবাজির অভিযোগে নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপটে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত দেশের সব ইউনিট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মহল চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছে। “আমরা কমিটি গঠনের সময়ই সাবধান করেছিলাম—এই প্ল্যাটফর্ম অপকর্মের হাতিয়ার হবে না। কিন্তু এরপরও রাজনৈতিক শেল্টারে থেকে কেউ কেউ জুলাই যোদ্ধাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে,” বলেন রিফাত রশিদ।
এ অবস্থায় সংগঠনের অর্গানোগ্রামের জরুরি সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি বহাল রেখে সারাদেশের সব কমিটি আজ (২৭ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে, একই দিনে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম আহ্বান জানিয়েছেন, “সমন্বয়ক” পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি বা তদবির করতে এলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে দেওয়ার।
স্ট্যাটাসের মন্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, “কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর কোনো ইউনিট কার্যকর নয়। কোনো বাসা, অফিস বা প্রতিষ্ঠানে সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে কেউ অপকর্ম করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সংগঠনের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতেই এ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।