বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বর্তমানে গভীর সংকটে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে চলমান আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে মোট শুল্ক দাঁড়াবে প্রায় ৫০ শতাংশ, যা বাংলাদেশের পণ্য প্রতিযোগিতায় মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়বে।
এই সংকটের মাঝেই চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবা খাতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৬ সালের পর এবারই প্রথম এই মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। নতুন মাশুল কার্যকর হলে বন্দরের আয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বাড়বে।
এছাড়া, বেসরকারি কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনও ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই ব্যয় বহন করতে হবে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের, যারা ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক চাপের মুখে আছেন।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, “ব্যবসা এখন ঝড়ের মধ্যে আছে। এমন সময় বন্দরের মাশুল বাড়ানো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ৩৯ বছর পরেও যদি বাড়ানো যায়, ছয় মাস অপেক্ষা করলে ক্ষতি কী হতো? এখন এমন সময় নয়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভুল বার্তা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার এখন শ্রম আইন সংশোধনেও ব্যস্ত। অথচ আইএলও সময় দিয়েছে আগামী মার্চ পর্যন্ত। তাই সবকিছুই ছয় মাস পিছিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।”
বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এসব সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা উচিত। তা না হলে দেশের রপ্তানি ও বিনিয়োগ পরিবেশ আরও হুমকির মুখে পড়বে।