বলিউডের ‘খাল্লাস গার্ল’ খ্যাত অভিনেত্রী ইশা কোপিকার রুটি-রুজির জন্য নয়, বরং অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই কাজ করতেন চলচ্চিত্রে। হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলুগু, কন্নড় ও মারাঠি ভাষার ছবিতে নিয়মিত দেখা গেছে তাকে। তবে বিয়ের পর ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে দূরে সরে যান তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ার ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।
এর আগে ১৫ বছর বয়সে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর করুণ অভিজ্ঞতার কথা জানানোর পর এবার আরও একটি ঘটনা শোনালেন তিনি। জানান, তেলুগু ছবি ‘চন্দ্রলেখা’-র শুটিংয়ের সময় অভিনেতা নাগার্জুনের কাছ থেকে একসঙ্গে ১৪টি চড় খেতে হয়েছিল তাকে।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে গিয়ে ইশা বলেন, ছবির একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে চড় মারার দরকার ছিল। প্রথমে নাগার্জুন খুব হালকা করে গালে হাত রাখছিলেন, যেন কোনো আঘাত না লাগে। কিন্তু তখন ইশা নিজেই অনুরোধ করেন দৃশ্যটি বাস্তবসম্মত করে তুলতে এবং সেজন্য জোরে চড় মারার অনুমতি দেন।
শুটিং চলাকালীন সেই দৃশ্য ধারণে মোট ১৪ বার চড় খেতে হয় ইশাকে। এতে তার গাল লাল হয়ে যায় এবং দাগও পড়ে। তবে এই ঘটনা নিয়েও ইশা ছিলেন পেশাদার। তিনি বলেন, “আমি নিজেই ওকে বলেছিলাম এটা করতে। তারপরও ও বারবার ক্ষমা চাইছিল। ওর মধ্যে একটা অপরাধবোধ কাজ করছিল।”
এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, অভিনয়ের প্রতি কতটা দায়বদ্ধ ছিলেন ইশা কোপিকার, আর সহ-অভিনেতা নাগার্জুনের ভদ্রতা ও পেশাদারিত্বও সেখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।