বাংলাদেশের চা শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের মূল মজুরি প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাগান মালিকপক্ষ। পাশাপাশি, অন্যান্য ভাতা ও সুবিধাও পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করা হবে।
এ সংক্রান্ত একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশি চা সংসদ (বিসিএস) ও বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের মধ্যে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিটিএ কার্যালয়ে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় এবং বুধবার (৩০ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চা-বাগানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।
চুক্তির আওতায় শুধু বেতনই নয়, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অন্যান্য ভাতাও বৃদ্ধি পাবে। এতে শ্রমিকদের জীবমান উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতাও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিটিএ চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সালেক আহমেদ আবুল মাশরুর, লেবার সাবকমিটির কনভেনার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী, সদস্য এম ওয়াহিদুল হক। শ্রমিকপক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মল্লিক টি রহমান, মহাসচিব কাজী মোজাম্মেল হক, এবং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুর রহমানসহ আরও অনেকে।
বিটিএ চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে হলে উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং তা সম্ভব হবে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকারিয়া আহমেদ জানান, এ চুক্তি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মপরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাজী মোজাম্মেল হক আশা প্রকাশ করেন, বর্ধিত মজুরি শ্রমিকদের কাজের আগ্রহ বাড়াবে এবং এর ফলে চা শিল্পে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।
এই চুক্তিকে দেশের চা শিল্পে একটি ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।