জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দল থেকে বহিষ্কৃত ১১ সিনিয়র নেতাকে পুনর্বহাল করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ৩০ জুলাই (বুধবার) এ আদেশ দেন বলে বৃহস্পতিবার আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্যান্য প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং তারা পূর্বের দায়িত্বেই বহাল থাকবেন।
স্বপদে ফিরিয়ে আনা অন্য নেতারা হলেন—প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, আরিফুল রহমান, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, জসিম উদ্দীন জসিম এবং দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক খান।
আদালতের এই সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “এই ঐতিহাসিক রায় প্রমাণ করেছে যে আইন ও বিচার এখনো জীবিত রয়েছে। সত্যকে কখনো মুছে ফেলা যায় না, আর গঠনতন্ত্রের অপমান বরদাশতযোগ্য নয়। এটি স্বৈরাচার ও একক কর্তৃত্বের রাজনীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টি কোনো ব্যক্তির মালিকানাধীন সংগঠন নয়, বরং এটি লাখো মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন। আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে দল আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরেছে। আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি এবং দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। সত্যের জয় হোক, অহংকারের পতন হোক।”
হাওলাদার জানান, “দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে প্রয়াত এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্য, মানবিকতা ও প্রগতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করব। এখন থেকে পার্টির ভেতরে কোনো বিভাজন থাকবে না।”