জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে আন্দোলন দমন করতে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে। আন্দোলন দমনে রাত্রিকালীন বৈঠকে এসব পরিকল্পনা নির্ধারিত হতো বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আসে। র্যাব ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় ‘ব্লক রেইড’ পরিচালনা, হেলিকপ্টার ব্যবহার, গুম ও গোপন বন্দিশালার কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে।
জবানবন্দিতে বলা হয়, র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশিদের পরিকল্পনায় হেলিকপ্টার অভিযান পরিচালিত হয়। তবে সাবেক আইজিপি দাবি করেন, তিনি সরাসরি এতে জড়িত ছিলেন না।
তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাঁর সামনে ঘোষণা করেন যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় জোয়ারদারসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদ এ ধরনের পদক্ষেপে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে ‘লেলিয়ে দেওয়া’ হয় ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে।
সাবেক আইজিপির এই জবানবন্দি আলোচিত জুলাই আন্দোলন সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে।