জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম। তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনে তার ভূমিকা খাটো করার মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সৎ ইতিহাস রচনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সাদিক কায়েম বলেন, “জুলাই বিপ্লব ছিল আপামর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। এখানে সব মত ও পথের মানুষ একটি কমন লক্ষ্য—ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ—গঠনে একত্র হয়েছিলেন।” তিনি জানান, ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট ও কারফিউয়ের মধ্যে দ্বিতীয় সারির সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয়, কর্মসূচি প্রণয়ন, সেফ হাউস নিশ্চিতকরণ, দেশি-বিদেশি যোগাযোগ এবং ৯ দফা প্রচারের কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি কখনো নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করিনি কিংবা কোনো পদ দখলের চেষ্টা করিনি। বরং শহীদ ও গাজীদের আত্মত্যাগকেই বিপ্লবের মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেছি।”
সাদিক দাবি করেন, কিছু ব্যক্তি ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত আত্মগোপনে থেকে পরে নিজেদের ‘মহাবিপ্লবী’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন। “এই তথ্যগুলো জাতির সামনে না এলে ইতিহাস বিকৃত হবে,”—বলেই বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে অভিযোগ করেছিলেন, সাদিক কায়েম অভ্যুত্থানের পর ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় ব্যবহার করে শিবিরের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।