বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যার মধ্যে সাতটি জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতির ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার স্বাক্ষরিত এক নদীবন্দর সতর্কবার্তায় জানানো হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল এবং এরপর আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত, যার ফলে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশিরভাগ স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে সোমবার (৪ আগস্ট) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সার্বিকভাবে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকবে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।