বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার হৃদযন্ত্রে একাধিক ব্লক ধরা পড়ায় চিকিৎসকরা বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন। এই পরিস্থিতিতে তাকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
জামায়াত সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই তিনি হালকা বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে এনজিওগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে মোট পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে। দ্রুত চিকিৎসার অংশ হিসেবে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ওপেন হার্ট সার্জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জামায়াতের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রবীণ নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ফোনালাপটি হয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশ করা হয়।
স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূস আমিরের শারীরিক অবস্থা, চিকিৎসা প্রক্রিয়া ও মানসিক অবস্থার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চান। তিনি আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং তার জন্য দোয়া করেন।
এই আন্তরিকতায় জামায়াত আমির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,
“প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে আন্তরিকভাবে খোঁজ নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাকে উত্তম জাযা দান করেন। আমিন।”
এদিকে, ডা. শফিকুর রহমানের আশু রোগমুক্তির জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশব্যাপী দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। নেতাকর্মীরা দেশ ও জাতির জন্য তার অবদান স্মরণ করে দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনা করছেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সার্জারির সময় ও অন্যান্য চিকিৎসা পরিকল্পনা মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালের পাশে রয়েছেন এবং তার চিকিৎসা নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক হিসেবে ডা. শফিকুর রহমানের সুস্থতা কামনায় দেশের বিভিন্ন মহল থেকে শুভকামনা জানানো হচ্ছে। তার অবস্থা সম্পর্কে নতুন কোনো আপডেট পেলে তা জানানো হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।