কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পিতলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মিত বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। নির্মাণের দায়িত্ব পায় এস এন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট, বালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। দেওয়ালগুলোর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ছোট, ইট নম্বরবিহীন ও আকারে ছোট। নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। হাতের স্পর্শেই খসে পড়ছে প্লাস্টার। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইসতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল নিয়মিত তদারকি না করায় ঠিকাদার ইচ্ছামতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শনে গিয়ে হেয়ার ক্র্যাক ও নিম্নমানের বালুর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয় বালু ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে ভবিষ্যতে জামালপুরের উন্নত বালু দিয়ে পুনরায় প্লাস্টারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নির্মাণ অনিয়ম ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। রাজধানীর দিয়াবাড়ির মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার মতো আর কোনো শিশু যাতে নির্মাণজনিত দুর্বিপাকে না পড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে। অন্যথায় আরেকটি ট্রাজেডি শুধু সময়ের অপেক্ষা।