জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর নাম ও প্যাড ব্যবহার করে ‘জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামা’ শিরোনামে একটি ভুয়া বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বিবৃতিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এনসিপির জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণের দাবি ছাড়াও আরও সাতটি দাবি উত্থাপন করা হয়। তবে দলটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই বিবৃতির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “বিষয়টি পুরোপুরি ভুয়া, ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। এটি পরিকল্পিতভাবে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছড়াচ্ছে।”
ভুয়া বিবৃতিতে যেসব দাবির কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো:
১. ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দেশের ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
২. আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মূল নেতৃত্বদানকারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. এই আন্দোলনের নেতাদের ভবিষ্যতের সব কর্মকাণ্ড, তা আইনের মধ্যে হোক বা না হোক—রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধ ঘোষণা করতে হবে।
৪. এই ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’কে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদা দিতে হবে এবং আন্দোলনে নিহত ও আহতদের মুক্তিযোদ্ধার সমান সুবিধা দিতে হবে।
৫. আন্দোলনের সাত নেতা—নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আখতার হোসেন, মাহফুয আলম এবং নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারীকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি এবং অন্যান্য সমন্বয়কারীদের ‘বীর বিক্রম’ উপাধি দিতে হবে।
৬. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এবং আহতদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকারসহ বিশেষ সুবিধা দিতে হবে।
৭. এনসিপির জন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ৩০টি আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
তবে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিবৃতিটি তাদের দলীয় অবস্থান নয় এবং দলীয় প্যাড ও নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তারা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।