সামাজিক পরিমণ্ডলে প্রথমেই যে বিষয়টি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তা হলো ব্যক্তির স্মার্টনেস। এই গুণটি শুধু বাহ্যিক রূপচর্চা বা সাজসজ্জায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি অন্তরদৃষ্টিও প্রতিফলিত করে। স্মার্টনেস মানে নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যাতে ইতিবাচক মনোভাব ও ব্যবহার প্রকাশ পায়। চলুন জেনে নিই, কীভাবে নিজেকে আরও স্মার্টভাবে উপস্থাপন করা যায়—
১. সত্যিকারের প্রশংসা করুন:
যখন আপনি আন্তরিকভাবে কাউকে প্রশংসা করেন, তখন আপনি শুধু তাকে খুশিই করেন না, বরং নিজেকেও একজন পরিপক্ব ও উদার মানুষ হিসেবে তুলে ধরেন। মন থেকে প্রশংসা করার মানে হলো, আপনি ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী—এটিই স্মার্টনেসের একটি বড় দিক।
২. রাগ সংবরণে ধৈর্য ধরুন:
দিনে দিনে এমন কিছু পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যা সহজেই রাগের উদ্রেক করে। তবে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে শান্ত থাকা অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। সময় গেলে আপনি নিজেই বুঝবেন, রাগ কমে গেছে। একইভাবে অন্য কেউ রেগে থাকলে ঝগড়ায় না জড়িয়ে ধৈর্য ধরুন—তাতে সে নিজেই অনুতপ্ত হবে।
৩. পরিপাটি থাকুন:
স্মার্ট হতে চাইলে দামি পোশাকের চেয়ে পরিপাটি থাকাটা বেশি জরুরি। পরিচ্ছন্নতা, পোশাকের মানানসই ব্যবহার, কথা বলার ভঙ্গি ও চলাফেরার শালীনতাই বলে দেয় আপনি কতটা পরিশীলিত। এমনকি আপনার খাওয়ার ভঙ্গিমাও আপনার স্মার্টনেসের পরিচায়ক হতে পারে।
৪. সাহায্যের হাত বাড়ান:
সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে এলে নিরুৎসাহিত না হয়ে যতটা সম্ভব পাশে দাঁড়ান। এতে শুধু মানবিকতা নয়, আপনার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতাও বাড়ে। অন্যের দুঃসময়ে আপনি যদি পাশে থাকেন, নিজের দুঃসময়েও সহায়তা পাওয়া সহজ হয়। স্মার্ট ব্যক্তিরা সবসময়ই অন্যদের পাশে দাঁড়ায়।
৫. ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ বজায় রাখুন:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিতি থাকা ভালো, তবে বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলো আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধু অনলাইনের “লাভ রিঅ্যাক্ট”-এর চেয়ে পরিবারের ভালোবাসা, বন্ধুদের আন্তরিকতা অনেক বেশি মূল্যবান। ব্যক্তিজীবনে আপনি কতটা সামাজিক ও মিশুক—সেটিই আপনার স্মার্টনেসের প্রকৃত পরিচয়।
স্মার্টনেস হলো এক ধরনের জীবনদর্শন, যা আচরণ, মনোভাব ও ব্যবহার দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে হয়। তাই বাহ্যিক সাজসজ্জার পাশাপাশি নিজেকে ভেতর থেকেও গড়ে তুলুন।