নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় সেতু নির্মাণের কারণে বিকল্প অ্যাপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করছিল স্থানীয়রা। তবে বর্ষার পানিতে সেই সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে আশপাশের প্রায় ৫০ গ্রামের অন্তত অর্ধলাখ মানুষ।
জানা গেছে, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে হোসেনপুর সড়কের একটি পুরনো সেতু ভেঙে নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। নির্মাণকালীন সময়ে বিকল্প হিসেবে একটি অ্যাপ্রোচ সড়ক তৈরি করা হলেও সেটি নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় ২ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৭২২ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজ। ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়ে ৩১ আগস্টের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো ৬০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি।
মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে বিকল্প সড়কটি প্রায়ই হাঁটু সমান পানির নিচে তলিয়ে থাকে। ফলে মঙ্গলেরগাঁও, দুধঘাটা, চরগোয়ালদী, দুর্গাপ্রসাদ, তাতুয়াকান্দি, ফতেপুরসহ অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। সড়কটি ব্যবহার করতে গিয়ে গত এক মাসে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প সড়কটি সঠিকভাবে নির্মাণ করেনি। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে, আর খানাখন্দে পড়ে মানুষ আহত হচ্ছে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
সোনারগাঁ সরকারি কলেজের ছাত্রী আবিদা আক্তার জানান, “বৃষ্টির দিনে এই রাস্তায় চলাফেরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।”
অন্যদিকে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আছিয়া আক্তার বলেন, “শুধু শুক্রবার ছুটির দিনে বাড়ি আসতাম, এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই দুর্ভোগের জন্য দায়ী নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি।”
এ বিষয়ে মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক তমাল ঘোষ বলেন, “অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বিকল্প সড়কটি তলিয়ে গেছে। আমরা দুঃখিত এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটি উঁচু করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য আছে।”