গায়ে এলার্জি বা চুলকানি একটি সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত অস্বস্তিকর সমস্যা। এটি অনেক কারণেই হতে পারে—ধুলাবালি, খাবারে অ্যালার্জি, গরমে ঘাম জমা, পোকার কামড় কিংবা ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা। হঠাৎ চুলকানি শুরু হলে তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে অস্বস্তি অনেকটাই কমানো যায়।
প্রথমেই, আক্রান্ত জায়গাটি সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে চুলকানির তীব্রতা কমে এবং ত্বক ঠান্ডা অনুভব করে। ঠান্ডা পানির সেঁক বা বরফের টুকরো পাতলা কাপড়ে জড়িয়ে ৫-১০ মিনিট চেপে ধরলেও উপকার পাওয়া যায়।
যদি কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার কারণে চুলকানি হয়, তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ (যেমন সিট্রিজিন) খাওয়া যেতে পারে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নয়। বাজারে পাওয়া কিছু অ্যান্টি-ইচ ক্রিম বা লোশন যেমন ক্যালামাইন লোশন বা হাইড্রোকর্টিসোন ব্যবহার করলেও দ্রুত আরাম মেলে।
ঘরোয়া উপায় হিসেবে তুলসীপাতার রস, অ্যালোভেরা জেল কিংবা ঠান্ডা দই চুলকানির জায়গায় লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। এছাড়া ওটমিল পেস্ট বা বেসনের মিশ্রণ লাগানোও কার্যকর।
চুলকানির সময় নখ দিয়ে ঘষাঘষি না করে ধৈর্য রাখা জরুরি, কারণ এতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। পরিষ্কার ও ঢিলেঢালা জামা-কাপড় পরা উচিত, যাতে ঘাম জমে না এবং বাতাস চলাচল সহজ হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয়, শরীরে ফুসকুড়ি, ফোলা বা জ্বর আসে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ চুলকানির পেছনে বড় কোনো ত্বকজনিত রোগ বা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে থাকতে পারে