এক বছর পর আবারও ফিরে এসেছে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট—যা গণ-অভ্যুত্থান ক্যালেন্ডারে পরিচিত ‘ছত্রিশ জুলাই’ নামে। ঠিক এই দিনেই গত বছর ফ্যাসিস্ট শাসনের পতন ঘটে, দেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই দিনটির স্মরণে রবিবার (৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। বার্তায় জানানো হয়, এবারের ‘ছত্রিশ জুলাই’-এ বিকেলে ঘোষণা করা হবে বহু প্রতীক্ষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’।
পোস্টে বলা হয়, “ছত্রিশ জুলাই—গত বছর এই দিনে পৃথিবী দেখেছিল এক অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থান। বহু শহীদের রক্ত, যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ এবং দেশের সাধারণ মানুষের একতাবদ্ধতার ফলে বাংলাদেশ এক নতুন পথে যাত্রা শুরু করে। সেদিন সারা দেশজুড়ে ছিল উল্লাসমুখর জনতার ঢল, আনন্দ, চোখে পানি আর কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।”
এই দিনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ জুড়ে দিনব্যাপী থাকছে নানা আয়োজন। বিকেলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক দিকনির্দেশনার সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তায় দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে— “এই দিনটি কেবল একটি তারিখ নয়, এটি আমাদের সংগ্রাম, আমাদের বিজয় এবং আমাদের গৌরবের প্রতীক।”
দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে এই ঘোষণাপত্র নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল এবং প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি হতে যাচ্ছে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশনা।