৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক বিশাল সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করেন। বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এই দাবি উত্থাপন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এর আগে সকালে গণভবনে এক বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সংঘাত চাই না, আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে বসতে চাই।” কিন্তু আন্দোলনকারীরা পুরো মন্ত্রিসভার পদত্যাগ, সহিংসতার বিচার এবং শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন। নাহিদ বর্তমানে এনসিপির প্রধান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা।
এই ঘোষণার পরপরই ঢাকার বাইরে বিস্তৃত হয় বিক্ষোভ। চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। সাভার, সিলেট, কুমিল্লা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও জামালপুরে পুলিশ এবং সরকারি দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। গাজীপুরে একজন নিহত হন।
চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসায় ও সাংসদ মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়ে হামলা হয়। রংপুরে ছাত্রনেতা আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত হন। কুমিল্লায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলিতে আহত হন বহু শিক্ষার্থী। বগুড়ায়ও সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ছয়জন।
এই প্রেক্ষাপটে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আন্দোলন রাজনৈতিক রূপ নিয়েছে। একইদিনে ২২ জন মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।