কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চর এলাকায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের ১১টি মহিষ মারা গেছে। রোববার (৩ আগস্ট) ভোররাতে চিলমারীর বাংলাবাজার সংলগ্ন চরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
স্থানীয় ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বজ্রপাতে মৃত মহিষগুলোর মধ্যে নবির আলীর ১০টি এবং এলাহি ঢালির একটি ছিল। এ সময় মহিষগুলো নদীর পাড়ের উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছিল। এলাকাবাসীরা নিশ্চিত করেছেন, মহিষগুলো আচমকা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, “আমার ইউনিয়নের দুই কৃষকের ১১টি মহিষ বজ্রপাতে মারা গেছে। নবির আলীর সবগুলো মহিষই মারা গেছে।”
ক্ষতিগ্রস্ত এলাহি ঢালি বলেন, “নবির আলী আমার ফুপাতো ভাই। আমাদের বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ রয়েছে, যেগুলোর মালিক ২২ জন। বজ্রপাতে আমাদের ১১টি মহিষ মারা যাওয়ায় প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতগুলো মহিষ পুঁতে রাখা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। সরকার যদি কিছু সহায়তা করত, উপকার হতো।”
দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম জানান, “ঘটনাটি আমরা জেনেছি। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২০ থেকে ২৪ লাখ টাকা।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “সরকারি সহায়তা এলে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।”