সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন—এমন গুঞ্জনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের সেখানে উপস্থিতি মিলিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জোর চর্চা চলছে। বিশেষ করে দাবি উঠেছে, তারা কক্সবাজারে কোনো বৈঠকে অংশ নিতে গেছেন।
তবে এনসিপির পক্ষ থেকে এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব (মিডিয়া) মুশফিক উস সালেহীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পিটার হাসের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। কক্সবাজারে কেন্দ্রীয় নেতারা নিছক বিশ্রাম ও অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যেই গেছেন।
এ বিষয়ে দলটির মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিবিসি বাংলাকে বলেন,
“পদযাত্রায় অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। হুট করে একটু ঘুরতে চলে এসেছি সাগরপাড়ে। কারও সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল না। হোটেলে চেক-ইন করেই দেখি—নিউজ চলছে, যেন আমরা বৈঠক করতে এসেছি!”
তিনি আরও বলেন,
“এখানে এসে শুনছি যে পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। যদি সত্যি দেখা করতেই হতো, ঢাকাতেই তো সেটা সম্ভব ছিল। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন, গুজব এবং ভুল তথ্য। পুরোপুরি মিডিয়া প্রোপাগান্ডা।”
আজকের দিনটি আবার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ—ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট, যা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতা ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন “জুলাই পুনর্জাগরণ” অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
এমন দিনে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা—হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ—কক্সবাজারে অবস্থান করায় জনমনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনাও করেছেন।
এই প্রসঙ্গে পাটওয়ারী বলেন,
“আমাদের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির কাছে আমন্ত্রণপত্র এসেছে। দলের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি দল ঢাকায় যাচ্ছে। সরকার বলেছে প্রতিটি দল থেকে ছোট প্রতিনিধি পাঠাতে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুত আছি।”
এর আগে গুজব ছড়ায়—কক্সবাজারের একটি হোটেলে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে পিটার হাসের গোপন বৈঠক হতে যাচ্ছে। যদিও এনসিপি নেতারা এই দাবি সাফভাবে অস্বীকার করেছেন এবং একে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলেই অভিহিত করেছেন।