আজ ৫ আগস্ট, ২০২৫, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও চিরস্মরণীয় দিন। এই দিনটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক
নাটকীয় পরিবর্তনের দিন। দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী ও দমনমূলক শাসনের অবসান ঘটে এই দিনে, যার ফলে জনগণের মাঝে আশার আলো জেগে ওঠে নতুন করে।
২০২৪ সালের এই দিনে একটি গণজাগরণ, আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার,শেখ হাসিনার সরকার পতনের মুখোমুখি হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, ভোটবিহীন নির্বাচন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংকোচন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ একত্রিত হয়।যার শুরুটা করেছিলো এ দেশের অদম্য সাহসী ছাত্ররা।এছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত আন্দোলনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই পরিবর্তন সম্ভব হয়।সম্ভব হয় তরুণ ছাত্রদের তাজা রক্ত আর জীবনের বিনিময়ে।
রাজপথে লাখো মানুষের অন্দোলনে অংশগ্রহন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ঐক্য ও প্রতিরোধের বার্তা। দেশের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ এবং মানববন্ধনের মাধ্যমে জনগণ তাদের দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান জানায়। অবশেষে ৫ আগস্ট সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয় এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব নেয়, যার মূল লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।
এই দিনটি শুধু একটি সরকারের পতন নয়, বরং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতীক হয়ে ওঠে। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এটি একটি শিক্ষণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ী দিন হিসেবে রয়ে যাবে। গণতন্ত্রের পথে জনগণের বিজয়ের এই দিনটি জাতীয়ভাবে স্মরণ করার মতো এক গৌরবময় দিন