বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন—গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রাকে সহজতর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা বিএনপি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক স্থবিরতা নিরসনে সহায়ক হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
বিএনপি আশা করছে, এই নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সেইসঙ্গে নির্বাচনকে সফল করে একটি কার্যকর জাতীয় সংসদ গঠন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায় দলটি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বিএনপি তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে। একইসঙ্গে শহীদদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও আহতদের সুচিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসায় তারেক রহমানের প্রতি বিএনপি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, “আসুন, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রামের এবং তারেক রহমানের রূপকল্পের আধুনিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।”