জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ শীর্ষ নেতা বর্তমানে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরের সী-পার্ল হোটেল ত্যাগ করেন তারা—এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। শহরে ফিরে কলাতলীর একটি রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকেল ৩টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থিত ‘প্রাসাদ প্যারাডাইজ’ হোটেলে ওঠেন নেতারা।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তারা ওই হোটেলেই অবস্থান করছেন। এনসিপির স্থানীয় কয়েকজন সংগঠকও সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং এনসিপি নেতাদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ছবি না তুলতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নেতা জানান, হাসনাত ও সারজিসসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে গুজব নিয়ে তাদের বেশ বিব্রত মনে হয়েছে। সফরটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বলে ধারণা করছেন অনেকে।
সফরে অংশ নেওয়া নেতারা হলেন—মুখ্য সমন্বয়ক নাসীর উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং তার স্ত্রী ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
এর আগের দিন (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে মাইক্রোবাসে করে উখিয়ার ইনানীতে যান। এসময় সারজিসের স্ত্রীও সফরসঙ্গী ছিলেন।
জুলাই আন্দোলনের এক বছর পূর্তির দিন আন্দোলনের পরিচিত মুখদের আকস্মিক এ সফর ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তারা বৈঠক করতে এসেছেন।
তবে পরে জানা যায়, এই দাবি ভিত্তিহীন এবং পিটার হাস বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।
এদিকে, দলের অনুমতি না নিয়ে কক্সবাজার সফরে আসায় এনসিপির কেন্দ্র থেকে ওই পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
দলীয় দপ্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে হবে।
নোটিশের জবাব দিতে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে তাদের ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও, কক্সবাজার ত্যাগের নির্দিষ্ট সময় এখনো জানা যায়নি।