বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়া। তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না।”
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “যারা হতাশ হয়েছে, তারা সব সময় হতাশই থাকে। তারা এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না দিলেও, তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দেখেছি—আশা করি, তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ তৈরি করবে।”
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস তার অতীত কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, ভবিষ্যতেও তিনি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে এমন কিছু করবেন না, যা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।”
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানো সম্ভব হয়। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে এক নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আশা জাগে।
নতুন করে রাষ্ট্র ও অর্থনীতিকে পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন এবং ৫ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করেন।
বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এতে সব রাজনৈতিক দল যে অঙ্গীকার করেছে, তা পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে রূপ নেবে। পাশাপাশি গড়ে উঠবে একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।