রাজধানীর সরকারি ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশ দ্রুত প্রকাশের দাবিতে বুধবার দুপুরে সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
গত কয়েকদিন ধরে এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পোস্টারিং, ব্যানার তৈরি ও প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
তারা বলছেন, ‘অধিভুক্তি’ শব্দটি তাদের জন্য বৈষম্যমূলক ও অবমাননাকর। দীর্ঘদিন ‘৭ কলেজ’ কাঠামোর অধীনে থাকায় তারা নিজেদের পরিচয় সংকটে ভুগেছেন। এখন আলাদা একটি পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করার সময় এসেছে। সরকার যখন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তখন দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়নের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন বলেন, “আমাদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে অধ্যাদেশ জারি হয়নি। আমরা রাষ্ট্রের কাছে জোর দাবি জানাই দ্রুত এই অধ্যাদেশ প্রকাশ করা হোক, নইলে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।”
সরকার জানিয়েছে, অধ্যাদেশ কার্যকরের জন্য পাঁচটি ধাপ পেরোতে হবে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করবে। এরপর তা যাবে আইন মন্ত্রণালয়ে, সেখান থেকে সংশোধন হয়ে আবার ইউজিসিতে ফিরে আসবে। পরে নির্ভুল খসড়াটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য যাবে এবং চূড়ান্তভাবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।
শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, প্রক্রিয়ার শুরুতে তেমন জটিলতা না থাকলেও আইন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক ধাপে বিলম্ব হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যেই অধ্যাদেশ প্রকাশ নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানান তারা।