কক্সবাজারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সচেতন নাগরিক সমাজ বলছেন, এখন ডিএনসি মানেই আতঙ্ক। মানবাধিকার, তদন্ত, কিংবা যথাযথ প্রমাণ—এসব যেন কাগজে-কলমে থাকা শব্দমাত্র। অভিযোগ উঠছে, অর্থ না দিলে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হচ্ছে। প্রবাসফেরত কিংবা নারীরাও বাদ যাচ্ছেন না।
স্থানীয়দের ভাষ্য, কিছু কর্মকর্তার জীবনযাপন, ব্যাংক হিসাব ও বিলাসবহুল বাড়ি দেখে বোঝা যায়, কতটা অস্বচ্ছ উপার্জনের ভেতর তারা রয়েছেন। অথচ সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী তাদের বেতন সীমিত।
সম্প্রতি কক্সবাজারের সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেলকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা করলে তা তদন্তে প্রমাণিত হয়। ৯ মার্চ এক অটোরিকশাচালককে আটক করে ডিএনসি। তার স্ত্রীর অনুরোধে সাংবাদিক রাসেল ফোনে খোঁজ নিলে, সহকারী পরিচালক (এডি) এ.কে.এম দিদারুল আলম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে এক যুবককে ইয়াবাসহ হাজির করে রাসেলের নাম জড়ানোর অপচেষ্টা চলে।
এই ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ছড়ায়। ১০ মার্চ মানববন্ধনের পর প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ মার্চ এডি দিদারুল আলমকে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
তবে সুশীল সমাজ মনে করছে, বদলি বা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি যথেষ্ট নয়। যারা আইনের ছায়ায় অপরাধে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। তা না হলে ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ এর আড়ালে ‘মাদক-অধিদপ্তরীয় মাফিয়া’ গোষ্ঠী আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যা প্রকাশ পেয়েছে, তা যেন বিচার ও জবাবদিহির মাধ্যমে কার্যকর হয়—এটাই এখন সময়ের দাবি।