বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ধারাবাহিক উন্নতি ও সাফল্যে অভিভূত হয়ে ফিফা এক বিশেষ বার্তা দিয়েছে। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সূচনা হলেও, এখন জাতীয় দলও উল্লেখযোগ্য অর্জনের পথে হাঁটছে। প্রথমবারের মতো নারী দল কোয়ালিফাই করেছে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে, যেখানে ভালো করলে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়েও এসেছে বড় অগ্রগতি।
এই অসাধারণ যাত্রাকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছে ফিফা। পোস্টে ছিল ছয়টি ফটোকার্ড, যার প্রতিটিতে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সাম্প্রতিক সাফল্য ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, “১০০-এর কাছাকাছি।” উল্লেখ করা হয়—এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেওয়ার পর ফিফা/কোকা-কোলা নারী র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রথম ফটোকার্ডে দেখা যায়, বাংলাদেশ ফিফা নারী র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় উন্নতি করা দলগুলোর একটি। দ্বিতীয় ফটোকার্ডে জানানো হয়, ২০২৩ সালের আগস্টে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪২তম, যা উন্নীত হয়ে বর্তমানে ১০৪ নম্বরে এসেছে। তৃতীয় ফটোকার্ডে বলা হয়, এতদিন এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ জয় পায়নি। কিন্তু ২০২৫ সালের বাছাইপর্বে অপরাজিত থেকেই দলটি ইতিহাস গড়েছে। মূলপর্বে শীর্ষ ছয়ের মধ্যে থাকলে বাংলাদেশের জন্য প্রথমবারের মতো ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার দ্বার উন্মুক্ত হবে।
বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার পেছনে অন্যতম ভূমিকা রাখছে দেশের প্রথম নারী ফুটবল কৌশলগত পরিকল্পনা “এম্পাওয়ার হার: ২০২৪-২০২৭” এবং ফিফার উন্নয়নমূলক সহায়তা—এমনটাই জানানো হয়েছে চতুর্থ ফটোকার্ডে।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পরপর দুইবার শিরোপা জয়ের কথাও তুলে ধরা হয়েছে পঞ্চম ফটোকার্ডে। এতে বলা হয়, এই সাফল্য দলকে আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতিতে এগিয়ে রেখেছে। ফিফা ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের সহায়তায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টও ছিল দলের প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সবশেষে, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের বক্তব্য তুলে ধরেছে ফিফা। তিনি বলেন, “ফিফা নারী ফুটবলে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় দেশে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়েছে, যার ফলে নারী ফুটবলে দর্শক ও ভক্তসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।”
ফিফার এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ও উৎসাহ আরও বাড়াবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।