গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি স্বাধীন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ (শনিবার, ৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি কে এম এ. মামুন খান চিশতী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চক্রের এক নারী সদস্য গোলাপি বাদশাহ নামের এক ব্যক্তিকে বিরক্ত করছিলো, যার জেরে বাদশাহ ওই নারীর ওপর আঘাত করেন। এর পর চক্রের অন্যান্য সদস্যরা বাদশাহকে ছুরি নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় তুহিন ঘটনাটি ভিডিও করছিলেন। ভিডিও করায় চক্রের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।’
ঘটনার পর পুলিশ মো. শাহ জালাল (৩২) নামে এক আসামিকে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া ফয়সাল হাসান (২৩) নামে আরেক আসামিকে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, স্বাধীন ও আল-আমিন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ত চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে দৈনিক কাগজপত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮)কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।