ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে সব ধরনের প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শনিবার (৯ আগস্ট) রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, “হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তই কার্যকর হবে।”
এর কিছু পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, “হলে সব ধরনের প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।” ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।
ঘটনার সূত্রপাত ঢাবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন হল ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। যদিও হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, তবুও প্রকাশ্যে কমিটি ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রথমে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুহসীন হল, বিজয় ৭১ হল, এ এফ রহমান হলসহ অন্যান্য আবাসিক হলে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন। রোকেয়া হলের ছাত্রীরা গেটের তালা ভেঙে বাইরে এসে আন্দোলনে অংশ নেন। রাত গড়ানোর সাথে সাথে আন্দোলন আরও তীব্র হয় এবং শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
অবশেষে রাত ৩টার পর প্রক্টরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অবস্থান ত্যাগ করে নিজ নিজ হলে ফিরে যান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে ঢাবির আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি কার্যত বন্ধ হলো।