যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর থাকলেও লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক মহলের চাপও তাদের এসব হামলা ঠেকাতে পারেনি। শর্ত ভঙ্গ করে চালানো এই অবৈধ আক্রমণে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪৫ জন নিহত এবং ৫১৬ জন আহত হয়েছেন।
লেবাননের দৈনিক আল নাহার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেও ইসরায়েলি বাহিনী নানা স্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বৈরুতের শহরতলি থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব হামলায় সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা, যানবাহন, এমনকি মহাসড়কও লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। সর্বশেষ ৮ আগস্ট সকালে দক্ষিণ লেবাননের একটি মহাসড়কে ইসরায়েলি সেনারা একটি মোটরযানে হামলা চালায়, যাতে একজন নিহত হন।
২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ৬০ দিনের মধ্যে লেবাননের সেনাবাহিনী দেশের ভূখণ্ডে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেবে, সীমান্তের দুই পাশে বেসামরিক মানুষ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের সহায়তায় নিরাপদে ঘরে ফিরবে এবং ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
কিন্তু বাস্তবে সেই শর্তগুলো পূরণ হয়নি। ইসরায়েল বারবার লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে হিজবুল্লাহও বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় লেবাননের সেনাবাহিনী এখনো স্বাধীনভাবে কোনো অঞ্চলেই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে পারেনি।