শ্রীবরদীর কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া সংলগ্ন এলাকায় এক অতি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ৮০ বছর বয়সী খলিলুর রহমান তার ৭০ বছর বয়সী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত শয্যাশায়ী স্ত্রী খোশেদা বেগমকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন নৃশংসতা বলা চলে না, বরং মানবাধিক্যের বিরुद्धে এক গুরুতর অনৈতিকতা।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, খলিলুর রহমান স্ত্রীর দেহ টেনে উঠানে নিয়ে আসেন, যেখানে কোদাল দিয়ে একটি সামান্য গর্ত খুঁড়েছেন। তারপর গর্তের ভেতর স্ত্রীর দেহ রেখে মাটি চাপিয়ে গোপনভাবে তাকে দাফনের চেষ্টা করেন। অচেতন অবস্থায় গর্তে বাস করে তাকে মাটি চাপানো, তাতে অসুস্থ বয়স্ক নারী আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। খলিলুর উত্তেজিত হয়ে তাকে মুখে চড় মারেন। আশপাশের লোকজন দূর থেকে দেখলেও কেউ এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেননি। ভিডিওটি দম্পতির ১৯ বছর বয়সী নাতি খোকন ধারন করে ফেসবুকে শেয়ার করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, খোশেদা বহু বছর ধরে স্বামী ও পরিবারের সহায়তা সহ শয্যাশায়ী ছিলেন এবং কোনো চিকিৎসায় সুস্থ হননি। অনেক চিকিৎসা, সেবা ও ওষুধ খরচ করেও কোন উন্নতি না হওয়ায়, দীর্ঘ সময়ের চাপ ও মানসিক ক্লান্তির কারণে খলিলুর বিবেকশূন্য হয়ে এ নৃশংস কাজ করেছেন।
এই ঘটনার পর, শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার জাহিদ জানিয়েছেন, “ভিডিও দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সামাজিকভাবে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে; তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি উদ্যোগ নেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ বলেন, “ভিডিও দেখেছি; সত্যিই চিন্তার বিষয়। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”